একেবারেই ভিন্ন আঙ্গিকে আগামী ১৬ই জানুয়ারী শুরু হচ্ছে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। রেইনবো ফিল্ম সোসাইটি আয়োজিত উৎসবের এবারের স্লোগান ‘নান্দনিক চলচ্চিত্র, মননশীল দর্শক, আলোকিত সমাজ”। ৭৩টি দেশের প্রায় ২২৬টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে ১৯তম উৎসবে।
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের সবচেয়ে বড় উৎসব হলেও প্রতিবারের মতো এবারো উৎসব আয়োজনে সংশ্লিষ্টরা পাননি পর্যআপ্ত বাজেট। শুধু তাই নয় নেই নির্দিষ্ট কোনো ভেন্যুও। উৎসবের বিভিন্ন দিক নিয়ে নিউজ টোয়েন্টিফোরের সাথে কথা বলেছেন উৎসব পরিচালক আহমেদ মুজতবা জামাল।
বিগত ২৮ বছর ধরে রেইনবো চলচ্চিত্র সংসদ ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন করে আসছে। সারাবিশ্বের প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকারদের উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলো সিনেমাপ্রেমিদের কাছে পরিচয় করিয়ে দেওয়ায় এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য। এবারের স্লোগান ‘বেটার ফিল্ম, বেটার অডিয়েন্স এবং বেটার সোসাইটি’।
করোনা বাস্তবতায় এবারের উৎসবে থাকবেন না বিদেশী চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঢাকার প্রায় ৬টি ভ্যানুতে বাংলাদেশের সকল দর্শকরা উপভোগ করতে পারবেন দেশী বেদিশী চলচ্চিত্র।
প্রতিবছর এই উৎসব আয়োজনে নানা প্রতিবন্ধকতা পার করতে হয় আয়োজকদের। এই উৎসবের জন্য যেমন পাওয়া যায় না স্পন্সর তেমনি সরকারি যে বাজেট তাও পর্যাপ্ত নয়।
শুধু বাজেট স্বল্পতা নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চলচ্চিত্র উৎসব আয়োজনের জন্য নির্দিষ্ট ভ্যেনু থাকলেও বাংলাদেশে তা নেই। নেই কোনো নির্দিষ্ট কাঠামোও।
এবারের উৎসব উৎসর্গ করা হয়েছে সত্যজিৎ রায়কে। “লেজেন্ডারি লিডারস হু চেঞ্জড দ্য ওয়ার্ল্ড” বিভাগটি এবারই প্রথম বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে যুক্ত করা হয়েছে। ১৬ জানুয়ারি শুরু হয়ে উৎসব চলবে ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত।